স্মৃতির দখিন দুয়ার (হার্ডকভার)

নায়ক 'বারিস' বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র। সে মনে প্রাণে সৎ এবং হৃদয়ের দিকে পবিত্র থাকতে সচেষ্ট।
প্রথম নায়িকা 'ফারজিয়া' একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজেকে ইংল‍্যান্ডের প্রিন্সেস ভাবেন। ইউরোপিয় সভ‍্যতাকে নিজ জীবনে বাস্তবায়নে প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে চলছেন। অত‍্যন্ত মেধাবী। বাবা এবং মা দুজনে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক। সব ছেলের তার পিছে পিছে ঘুরবে এবং সে পাত্তা দেবে না এমন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। কোন ছেলে তাকে অবহেলা করলে তকে বশ‍্যতা স্বীকার করাতে সকল কলা কৌশল প্রয়োগে যথেষ্ট পারদর্শী। নায়ক বারিস তাকে অবহেলা করে সেজন্য যেকোন কৌশলে তার প্রেমের স্বীকৃতি আদায় করতেই হবে এমন ভয়ংকর চ‍্যালেঞ্জ নিয়ে নেমেছে।
দ্বিতীয় নায়িকা 'নূর' একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সের ছাত্রী। বিভাগীয় জজের মেয়ে। ডানপিটে এবং দুঃসাহসী নারী। তাকে কেউ অবহেলা করলে প্রচন্ড রাগে যেকোন নির্মম কাজ তার পক্ষে সম্ভব। সেজন্য সে বিশ্ববিদ্যালয়ে বারিসের চারিত্রিক দৃঢ়তার সীসা ঢালা প্রাচীর ভেঙ্গে দিতে চায়। ফলে উঠতি বয়সের বন্ধু এবং বান্ধবীদের নিয়ে এমন কলন্ক দেয় বারিসের চরিত্রে যার জন্য নায়কের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠে।
তৃতীয় নায়িকা 'হিমা' বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণী মেধাবী দাম্ভিক প্রফেসর। তখনও বিয়ের পিড়িতে বসেননি। দুর্দান্ত সাহসি এবং স্টেট্ ফরোয়ার্ড। বিশ্বজোড়া বিদ‍্যা বুদ্ধি এবং প্রজ্ঞার অধিকারী। চ‍্যালেঞ্জে পরাজয়ের রেকর্ড নেই। চারিত্রিক সুদৃঢ় মনোবলের কারণে কোন পুরুষের সৌভাগ্য হয়নি হিমার হিমালয় উচ্চ মননশীলতার কাছে পৌঁছানোর। পরীক্ষক হিসাবে নির্দয় পাশান। পরীক্ষার খাতায় সহজে ভালো গ্রেড পাওয়া হিমার কাছে অসম্ভব। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র / ছাত্রীরা তাকে দারুণ ভয় পায়। এমন পরিস্থিতিতে হিমা কিভাবে কোন স্বর্গীয় অনুভূতির কারণে বারিসের সঙ্গে সুসম্পর্কে জড়িয়ে এক পর্যায়ে গভীরে এগিয়ে যেতে থাকে।
ত্রিভুজ প্রেমের নৈসর্গিক অমীয় প্রেমের প্রস্রবণ ধারায় সমস্ত উপন‍্যাস টা ভিজে একাকার। তাহলে কি হবে এমন ত্রিভুজ প্রেমের শেষ পরিণতি!!???